শবেবরাত
بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده و نصلى على رسوله الكريم وعلى آله وصحبه أجمعين وعلى من تبعهم بإحسان إلى يوم الدين أمابعد:
বিদ‘আত ও তার পরিণাম
বিদ‘আত অর্থ ‘নতুন সৃষ্টি’। আভিধানিক অর্থে বিদ‘আত হ’ল-
البدعةُ هى كُلُّ ما أحدَثَ على غيرِ مثالٍ سابِقٍ
‘ঐ সকল নতুন সৃষ্টি, যার কোন পূর্ব দৃষ্টান্ত ছিল না’। শারঈ অর্থে-
البدعةُ هى الطريقةُ الْمُخْةَرَعَةُ فى الدينِ ةُضَاهِى الشريعةَ يُقْصَدُ بها الةقرُّبُ إلى اللهِ و لم يَقُمْ على صِحَّةِهَا دليلٌ شرعِىُّ صحيحٌ أصلا او وصفًا كما قاله الشاطبى فى الاعةصام ১/৩৭ بيروة، دارالمعرفة-
‘আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের উদ্দেশ্যে ধর্মের নামে নতুন কোন প্রথা চালু করা, যা শরী‘আতের কোন ছহীহ দলীলের উপরে ভিত্তিশীল নয়’। পারিভাষিক অর্থে সুন্নাতের বিপরীত বিষয়কে বিদ‘আত বলা হয়। মা আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,
مَنْ اَحْدَثَ فِى اَمْرِنَا هذا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ, متفق عليه-
‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু নতুন সৃষ্টি করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’।১ তিনি আরও বলেন, … ‘তোমাদের উপরে
১. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আলবানী, মিশকাত (বৈরুতঃ ১৯৮৫) হা/১৪০।
পালনীয় হ’ল আমার সুন্নাত ও আমার খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত। তোমরা উহা কঠিনভাবে অাঁকড়ে ধর এবং মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধর। ধর্মের নামে নতুন সৃষ্টি হ’তে সাবধান! নিশ্চয়ই প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদ‘আত ও প্রত্যেক বিদ‘আতই গোমরাহী’। নাসাঈ শরীফের অন্য ছহীহ বর্ণনায় এসেছে ‘এবং প্রত্যেক গোমরাহ ব্যক্তি জাহান্নামী’।২ খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত মূলতঃ রাসূলেরই সুন্নাত। কারণ তাঁরা কখনোই রাসূলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অনুমোদনের বাইরে কোন কাজ করতেন না। যুগে যুগে বৈষয়িক প্রয়োজনে সৃষ্ট বিভিন্ন আবিষ্কার সমূহ যেমন সাইকেল, ঘড়ি, চশমা, মটরগাড়ী, উড়োজাহায ইত্যাদি বস্ত্তসমূহ আভিধানিক অর্থে বিদ‘আত বা নতুন সৃষ্টি হ’লেও শারঈ পরিভাষায় কখনোই বিদ‘আত নয়। তাই এগুলোকে গুনাহের বিষয় বলে গণ্য করা অন্যায়। অনেকে এগুলোকে অজুহাত করে ধর্মের নামে সৃষ্ট মীলাদ, ক্বিয়াম, শবেবরাত, কুলখানি, চেহলাম ইত্যাদিকে শরী‘আতে বৈধ কিংবা ‘বিদ‘আতে হাসানাহ’ বলে থাকেন, যেটা আরো অন্যায়। বরং বিদ‘আতকে দু’ভাগে ভাগ করাই আরেকটি বিদ‘আত।